নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবীর মধ্যে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কালাজ্বর নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সনদও আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচওর যে গাইডলাইন ছিল, সেটা আমরা ফলো করেছি। মানসম্মত চিকিৎসা এবং ল্যাব স্থাপনেও আমরা বিশেষভাবে কাজ করেছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া মুক্ত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে বিজয় লাভ, বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম কালাজ্বর মুক্ত হওয়া ও ফাইলেরিয়া মুক্ত সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমরা গত চার বছরের তথ্য ডব্লিউএইচওর কাছে প্রদান করেছি। তারা রিভিউ করে দেখেছে, বাংলাদেশ আসলেই কালাজ্বর নির্মূল করতে পেরেছে। এ কারণে গত ৩০ অক্টোবরের ডব্লিউএইচও আমাদের সনদ প্রদান করে।
পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এখনো কালাজ্বর মুক্ত হতে পারেনি। আমরা একইসঙ্গে ফাইলেরিয়াও মুক্ত হয়েছি বলেও জানান তিনি।
জাহিদ মালেক জানান, বাংলাদেশে সত্তর দশকে বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কালাজ্বরের রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল। ৮০ সালে পাবনা জেলায় এর একটি প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল।
এ রোগটি বেলে মাছির কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে ৯৫ শতাংশ কালাজ্বর রোগীর মৃত্যু হয়। এই জ্বরের প্রধান লক্ষণগুলো অনিয়মিত দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, যকৃতের বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস এবং রক্ত স্বল্পতা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া দেশ এখন ফাইলেরিয়া মুক্ত। ২০০১ সালে বাংলাদেশে একটি জরিপের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, ৬৪টি জেলার মধ্য ১৯টি জেলায় ফাইলেরিয়া রোগের সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সংক্রমণতার হার ১% এর নিচে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত থাকায় ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি দলিল দাখিল করা হয়।
দলিলটির সার্বিক মূল্যায়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৫ মে ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়া মুক্ত ঘোষণা করে। বিশ্বে বাংলাদেশ সাফল্যের ১৮তম দেশ। একই সঙ্গে এশিয়া মহাদেশের চতুর্থ দেশ।
এবি/এইচএন