বাণিজ্য ডেস্ক: বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
উভয়ে মনে করে, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের এ বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার কোনো বিকল্প নেই।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) ক্যাথরিন গ্যালাঘের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদল এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ এ বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পণ্য রপ্তানির যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া গেলেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
জমি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের যথেষ্ট সরবরাহসহ বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও অন্য সুবিধাগুলোর কথা তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনসহ বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
এসময় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন ক্যাথরিন গ্যালাঘের। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জিডিপিসহ অন্য ক্ষেত্রসমূহে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের খাতভিত্তিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে। কৃষি ও শিক্ষা খাতে দুদেশের মধ্যে ভালো কাজ হয়েছে এবং অন্য খাতগুলোতেও কাজ হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে শিগগির যৌথভাবে সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, মহাসচিব মো. আলমগীর।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন- ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পোবকে, ট্রেড কমিশনার জন সাউথওয়েল, ডেনিস ইটন, সেকেন্ড সেক্রেটারি জশয়া গ্যাকুটান ও সিনিয়র ডিরেক্টর মিনহাজ চৌধুরী প্রমুখ।
এবি/এইচএন