নিজস্ব প্রতিবেদক: জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় দিবসটি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের নিরাপদ প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরদিনটি উপলক্ষে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সকাল ৮টায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ওবায়দুল কাদের যান বনানী কবরস্থানে। সেখানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে রাজশাহীতে কামারুজ্জামানের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও মোনাজাতেও অংশ নেন দলের নেতাকর্মীরা।
ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়; উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারের নিরাপদ প্রকোষ্ঠে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এবি/এইচএন