বগুড়ার দুই সাংবাদিক খোরশেদ আলম ও আসাফুদৌলা নিয়নসহ তিনজনের ওপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছে দুটি বার্মিজ চাকু পাওয়া গেছে। হামলায় জড়িতরা খুন, ডাকাতি, মাদকসহ অসংখ্য মামলার আসামি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে হামলায় নিরাপত্তা শঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়া শহরের জেলখানা মোড় এলাকার একটি জুস বারের সামনে সন্ত্রাসী রাকিবুলের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত তিনজন হলেন- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের স্টাফ রিপোর্টার আসাফুদৌলা নিয়ন এবং তৌফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। আহত সাংবাদিকদের মাথায়, চোখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের তিনজনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার পরই জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার বনানী গন্ডগ্রাম মহল্লার রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২২), হাবিবুর রহমান রকি (২৫), তারিকুল ইসলাম (২২), জিসান খান (২১), জিহাদ হাসান (২০) এবং বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়াটার এলাকার পিচ্চি টুটুল (২০)। তাদের কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু, দুটি মটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক খোরশেদ ও নিয়ন জানান, তারা জুস বার থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎই ১২-১৪ জন যুবক এসে পেছন থেকে তাদের ওপর হামলা করে। সাংবাদিক খোরশেদকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিয়নকে রাস্তায় ফেলে পেটায় সন্ত্রাসীরা।
জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ঘটনার পরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করে রাতভর ডিবির অভিযানে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আত্মগোপনে থাকলেও বাকিরা রেহাই পাবে না। গ্রেপ্তার রাকিবুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদক আইনে দুটি মামলা রয়েছে। রকির বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা চেষ্টা ও মাদকসহ ছয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
আমারবাঙলা/ইউকে