জেলা প্রতিনিধি : ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এবার সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মোট ১০টি অংশে ভাঙনের তথ্য পাওয়া যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে প্রবেশ করা পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া গত দুইদিনে মুহুরি-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দশটি স্থানে ভাঙন হয়েছে। তার মধ্যে ফুলগাজীর দৌলতপুর ও পরশুরামের দক্ষিণ শালধরের দুটি স্থানে ভাঙনের মাত্রা বেশি।
মালিপাথর গ্রামের হাসিনা বেগম জানান, ঘরে পানি থাকায় চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না। বৃদ্ধ-শিশু সবাইকে নিয়ে দুদিন ধরে শুকনো খাবার খাচ্ছি। পানি নামতে আরও সময় লাগতে পারে। এখনো কেউ ত্রাণ পাইনি।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। এছাড়া পানি কমলে ভাঙন স্থলের মেরামত কাজ শুরু হবে।
ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে দুর্গত এলাকায় মানুষদের সহায়তার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে এসব বিতরণের কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আমার বাংলা/এমআর