ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সূচি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস; সেই সময়ে ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে ইসি কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত যে ট্রাইমফ্রেম; ওটাকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের জন্য অনুষ্ঠানে ইসির কাছে বিভিন্ন কারিগরি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করে ইউএনডিপি।
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
এর মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি বিএনপি জানায়, আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে সংসদ নির্বাচন চায় দলটি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি নাসির বলেন, রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে আমরা ঢুকতে চাই না। আমরা আইন-কানুন, বিধি-বিধান, সিস্টেমের মধ্যে থাকব। আমরা চাই যে স্ট্রেইট, যাতে সবাই (আসতে পারে); ফ্রি ফেয়ার গেইম উপহার দিতে চাই। অল প্লেয়ারস ক্যান প্লে আন্ডার দ্য রুলস অব দ্য গেইম- এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে চাই।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হচ্ছে ২০ জানুয়ারি, চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার সাভারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।
এ হালনাগাদের কাজের জন্য ইউএনডিপির কাছ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি হাতে পেয়ে সিইসি বলেন, ইউএনডিপি কারিগরি সহায়তার জন্য একটা নিডস অ্যাসেসমেন্ট টিম পাঠিয়েছে। তারা ল্যাপটপ, ক্যামেরা, স্ক্যানার ও ব্যাগ (১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার ও ৪৩০০টি ব্যাগ) হস্তান্তর করেছে। ৬৫ হাজার লোকবল কাজে নিয়োজিত থাকবে। ইউএনডিপির এ সহায়তায় আমরা কৃতজ্ঞ। ইলেকশন প্রসেসেও আমরা হয়তো তাদের সহায়তা চাইব। আশা করি, সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এটি শুরু মাত্র, তা অব্যাহত থাকবে।
ভোটার হালনাগাদেই ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার কথা বলছেন সিইসি নাসির। তিনি বলেন, আমরা ছয় মাসের জন্য প্লান করেছি। কিছু কমবেশি হতে পারে। টার্গেট হচ্ছে- ছয় মাসের যাতে শেষ করতে পারি।
এ হালনাগাদে নতুন করে ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ