আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেরুতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৪ জন।
বুধবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলার হয়, মঙ্গলবার পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাস গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে আন্দিয়ান এই দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। ভোরের এই দুর্ঘটনায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে হাইওয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা জনি ভালদেররামা এএফপিকে জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ২১ জন ও ২০ জন আহতের কথা জানানো হলেও পরে তা সংশোধন করে যথাক্রমে ২৬ ও ১৪ বলে জানানো হয়।
এএফপি জানায়, ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রাজধানী লিমা থেকে আয়াকুচোর আন্দিয়ান অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এটি প্রায় ২০০ মিটার (৬৫৬ ফুট) উঁচু পাহাড় থেকে নিচে খাদে পড়ে যায়।
এদিকে বাসের দুই সহ-চালকসহ আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্গম এলাকায় ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আয়াকুচোর মারিসকাল হাসপাতালে কয়েকজন আহতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে হাসপাতালের বাইরে অনেকের আত্মীয়-স্বজন মরিয়া হয়ে তাদের স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
জুয়ান আইকুইপা নামে তাদেরই একজন আরপিপি রেডিওকে জানায়, ‘আমরা জানি না আমার ভাই হাসপাতালে আছে নাকি মারা গেছে। সব রাস্তাই গর্তে ভরা, সরকার কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করে না।’
প্রসঙ্গত, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া জোরালো বাতাস, পাহাড়ি রাস্তায় দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে ৮৭ হাজারেরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে। গত মে মাসে একই সড়কে একই ধরনের বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
আমার বাংলা/এমআর