লাইফস্টাইল ডেস্ক: পেটের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতাসহ দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। তবে ভয় পাবেন না, এমন সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখা একেবারেই সহজ হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী সেই অভ্যাসগুলো-
১) সকালে ভেজানো কিশমিশ:
রাতে পরিষ্কার পানিতে কয়েকটি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে সেই পানি পান করুন। কিশমিশগুলো ফেলে দেবেন না, সেগুলোও চিবিয়ে খেয়ে নিন। কিশমিশ ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা দিয়ে পরিপূর্ণ যা হজম এবং অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২) ঠিক সময়ে খাওয়া:
নিয়মিত বিরতিতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস একটি সুস্থ পাচনতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। আপনার অন্ত্রকে খুশি রাখতে এবং মসৃণভাবে কাজ করতে প্রতিদিন একই সময়ে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার লক্ষ্য রাখুন।
৩) মধ্য-সকালে চিয়া বীজ:
এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে আপনার হাইড্রেশন এবং ফাইবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান এবং বেলা ১১-১২ টার দিকে পান করুন। চিয়া বীজ হলো পুষ্টি এবং ফাইবারের একটি পাওয়ার হাউস, যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।
৪) হাইড্রেটেড থাকুন:
আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখতে সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। মল নরম করার জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এতে পেটের স্বাস্থ্য তো ভালো থাকবেই, সেইসঙ্গে সার্বিক সুস্থতার পথ অনেকটাই সুগম হবে।
৫) ফল এবং সবজি খান:
আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে ২টি ফল এবং প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখুন। ফল এবং শাক-সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা স্বাস্থ্যকর হজম এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। তাই এসব খাবার নিয়মিত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৬) প্রোবায়োটিক খাবার:
আপনার ডায়েটে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই, ফার্মেন্টেড খাবার এবং আচার যোগ করুন। প্রোবায়োটিক অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখে। সেইসঙ্গে হজমের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তাই এসব খাবার প্রতিদিন খেতে হবে।
৭) ঘুমানোর আগে ইসুবগুল:
ঘুমানোর আগে ১ চা চামচ ইসুবগুল হালকা গরম পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। ইসুবগুল হলো একটি প্রাকৃতিক রেচক যা মলত্যাগ সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাই পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ইসুবগুল খেতে হবে।
এবি/এইচএন