নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুতরদের খুলনা এবং বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়ারা হলেন- সদর উপজেলার উত্তর শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেন হাওলাদারের ছেলে নাঈম হাওলাদার (১৯), একই গ্রামের মোসাম্মাৎ মানসুরা বেগম (৫০), ইন্দারকানী উপজেলার গদারহাওলা গ্রামের আক্কেল আলী হাওলাদরের ছেলে হেমায়েত হাওলাদার (৫০), একই গ্রামের ইদ্রিস ফরাজীর ছেলে মো. খায়রুল ফরাজী (২০) ও স্বপন। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের ৬ জনই অটোরিকশার যাত্রী। অপর দুই জন মোটরসাইকেল চালক ও বাসের যাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১২টার দিকে পিরোজপুরের অভ্যন্তরীণ রুটের একটি বাস জেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুরের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি শঙ্করপাশা ইউনিয়নের পাড়েরহাট সড়কে ঝাউতলা নামক স্থানে একই দিকে যাওয়া একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তখন সেখানে থাকা আরও একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩-১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
পিরোজপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. রেজোয়ান হোসেন জানান, বাসটি ব্রেক ফেল করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা ৬ যাত্রী এবং মোটরসাইকেল চালক মারা গেছেন।
পিরোজপুর জেলা হাসাপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার পার্থ বিশ্বাস বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাঈম হাওলাদার (১৯), একই গ্রামের মোসাম্মাৎ মানসুরা বেগম (৫০), হেমায়েত হাওলাদার (৫০), একই গ্রামের মো. খায়রুল ফরাজী (২০) মারা গেছেন। অন্য একজন খুলনায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন।
এবি/এইচএন