বাড়ির উঠানে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সন্তানের লাশ। অপেক্ষা চলছে পিতার, একটি মামলায় যিনি রয়েছেন কারাগারে । গতকাল রাত থেকে আজ বুধবার (০৫ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত পরিবারের লোকজন তার মুক্তির অপেক্ষায়। জামিন পেলেও আইনী জটিলতায় এখনও মুক্তি মেলেনি। বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি, প্রতিবেশীদের মাঝেও শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকাল আনুমানিক পাঁচটার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রেজাউল ইসলাম (৪০) ও তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা (৩২) গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জুয়েলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা নেয়ার পথে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত জুয়েল উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন ওরফে মন্টু মেম্বারের ছোট ছেলে এবং আহত রেজাউল একই গ্রামের জোনাব মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের পিতা ও পাঁচ চাচা একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে তাদের জামিন হলেও আইনী প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় তারা এখনো মুক্তি পাননি। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাদের মুক্তির পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
স্থানীয়রা জানান, জুয়েল কিছুদিন রাজবাড়ী কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি রংপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হারুন-অর-রশিদ সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ৪-৫টি মোটরসাইকেল রেসিং করে যাচ্ছিল। বোয়ালিয়া মোড় এলাকায় দুর্ঘটনায় জুয়েল নিহত হন। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারবাঙলা/ইউকে