এক হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) রেঞ্জের একটি অ্যান্টি-ওয়ারশিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে ইরান, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই তথ্য জানিয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড নৌবাহিনীর প্রধান জেনারেল আলি রেজা তাংসিরি বলেছেন, এটি একটি গাদর-৩৮০ মাইল টাইপ এল ক্ষেপণাস্ত্র। এর রেঞ্জ ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এটি অ্যান্টি-জ্যামিং ক্ষমতা সম্পন্ন।
তিনি ইরানের দক্ষিণ উপকূলের একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনার কথা উল্লেখ করেন। তবে এই রিপোর্টে মিসাইলটির ওয়ারহেড বা পরীক্ষার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
তাংসিরি আরো বলেন, ‘এই সুবিধাটি বিপ্লবী গার্ডের ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের মাত্র একটি অংশ এবং এই মিসাইলগুলো শত্রু জাহাজগুলোর জন্য নরক তৈরি করতে সক্ষম।’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নতুন অস্ত্রটি একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভূগর্ভস্থ স্থাপনা থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ক্ষেপণাস্ত্রটি মধ্য ইরান থেকে ওমান সাগরে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়াও দাবি করা হয়েছে, মাত্র একজন কর্মী পাঁচ মিনিটের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রস্তুত করে উৎক্ষেপণ করতে পারে।
২০১১ সাল থেকে ইরান মাঝে মাঝেই ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা চালু করার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়ে আসছে। দেশটির দক্ষিণ উপকূল ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর কাছে এ ধরনের সুবিধা থাকার কথা তারা দাবি করে।
ইরান দাবি করেছে যে তাদের কাছে ২,০০০ কিলোমিটার (১,২০০ মাইল) রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল, বিশেষ করে ইসরাইয়েকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
আমারবাঙলা/জিজি