আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিলাসের কাছে যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় দুজন সেনা সদস্যসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন যাত্রী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গিলগিট-বালতিস্তান পুলিশের মুখপাত্র গোলাম আব্বাস।
হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি ও ঠিক কী কারণে যাত্রীবাহী ওই বাসে গুলি চালানো হয়েছে তাও এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
এ হামলা সম্পর্কে আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী জোহর বলেন, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হামলাকারীরা বাসে গুলি চালানোর পর প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামলার শিকার বাসটি কারাকোরাম মহাসড়ক দিয়ে চলছিল, যেচি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সড়কগুলোর একটি। হামলাকারীরা গুলি চালানোর পর বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারান ও বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা খায়।
এক বিবৃতিতে গিলগিট-বাল্টিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হাজি গুলবার খান বলেছেন, এ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, চিলাস শহরটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কাছে গিলগিট-বাল্টিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। পাহাড়ি শহর চিলাস পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে চীনের সহায়তায় একটি বাধ নির্মাণ হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। এর মধ্যে কিছু হামলার জন্য পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দায় স্বীকার করেছে।
আল জাজিরা বলছে, পাকিস্তানজুড়েই, বিশেষ করে, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানে সশস্ত্র হামলা বেড়েছে। এর মধ্যেই ঘটলো যাত্রীবাহী বাসে হামলার ঘটনা। দুটি প্রদেশই আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
এবি/এইচএন