আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। সকলকে চমকে দিয়ে এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই। অবশ্য পিটিআইয়ের সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
পিটিআইয়ের অভূতপূর্ব জয় ছাড়াও এবারের নির্বাচনে আরেকটি বড় চমক দেখা গেছে। সেটি হলো— এবার ধর্মীয় দলগুলোর ভরাডুবি হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহাম্মদ আমির রানা লিখেছেন, আগের নির্বাচনগুল্যোর তুলনায় এবার ধর্মীয় দলগুলোর পারফরমেন্স ছিল সবচেয়ে শোচনীয়।
ইসলামিক দলগুলো এবার কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। এ নির্বাচনের মূল বিষয় ছিল সেনাবাহিনীর পক্ষে ও বিপক্ষে কারা রয়েছেন সেটি।
ডানপন্থি ধর্মীয় দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) এবার জাতীয় পরিষদে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছিল দলটি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহাম্মদ আমির রানা বলেছেন, “জেইউআই-এফ— এর নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে বেশ কিছু বিষয় কাজ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ প্রার্থক্য, প্রার্থী বাছাইয়ে অস্বচ্ছতা এবং নির্বাচনের আসন বিক্রির অভিযোগ।”
অপর ধর্মীয় রাজনৈতিক দল উগ্রডানপন্থি তেহরিক-ই-লাব্বাই পাকিস্তান (টিএলপি) চেয়েছিল মূলধারার রাজনীতিতে আসতে। কিন্তু এই প্রচেষ্টার কারণে পাঞ্জাব এবং সিন্ধের মতো জায়গায় সুন্নি মুসলিমদের সমর্থন হারিয়েছে তারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন হলেও; রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে।
এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন জিতেছে। সূত্র: দ্য ডন
এবি/এইচএন