আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের জেরে রাজ্যটিতে এ পর্যন্ত ২ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ। তিনি কলকাতার বিবির বাগান এলাকার বাসিন্দা। সোমবার (২৭ মে) ভোরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টিতে বাড়ির দেওয়াল ধসে তিনি নিহত হন।
অপরজন রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নামখানা উপজেলাভুক্ত মৌসুনি নামের একটি দ্বীপ গ্রামের বাসিন্দা বয়স্ক নারী। দ্বীপটি পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার দিকে পড়েছে। গাছ উপড়ে কুঁড়েঘরের ওপর পড়ায় তিনি নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আজ বাতাসের গতিবেগ কমে এলেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
এদিকে ঝড় ও ভারী বর্ষণে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা ও কলকাতার শহরের দরিদ্র পরিবারের অনেকেরই ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, কোথাও কোথাও দেয়াল ধসে গেছে।
বড় বড় গাজ উপড়ে বা ডালপালা ভেঙে অনেক সড়ক বন্ধ হয়েছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন অধিকাং এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহও দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া মেট্রো ট্রেন ও রেল পরিষেবা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির পর আজ প্রথম কর্মদিবসে সকালে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কলকাতার ব্যস্ত শেয়ালদা ট্রেন স্টেশন আংশিক বন্ধ ছিল।
ঝড়ের কারণে রোববার দুপুর ১২ টা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ প্রায় ২১ ঘণ্টা পর বিমান ওঠানামা শুরু হয়।
বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চলের নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপে আছড়ে পড়ে। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় রোববার রাত ৮টা ৩০ থেকে এবং তা স্থায়ী ছিল অন্তত ৪ ঘণ্টা।
ভারতের আবহাওয়া দফতর আইএমডি বলছে, টানা কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালানোর পর আজ ভোর পর থেকে শক্তি হারাতে শুরু করে রেমাল। বর্তমানে এটি সাধারণ মৌসুমী ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এবি/এইচএন