আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বারের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে রেকর্ড ৭ লাখ বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন অভিষেক।
ভোট গণনা শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় ঘাসফুলের জয়জয়কার। তবে গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর নজর ছিল এই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের দিকে।
গণনার প্রতি রাউন্ডেই ব্যবধান বাড়াতে থাকেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৪টা নাগাদ ৭ লাখের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে ২০০৪ সালে বামফ্রন্টের জামানায় রাজ্যের আরামবাগ কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট প্রার্থী অনিল বসু ৫ লাখ ৯২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এই জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে নবীন ও প্রবীণ দ্বন্দ্ব সব সময় সামনে এসেছে। এছাড়াও দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে সব সময় বিরোধিতা করেছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।
এবারের নির্বাচনে দলের সব কাজই ছিল তার কাঁধের ওপর। নির্বাচনে দলের প্রচার-পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাছাই করা স্লোগান সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অভিষেকের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দীর্ঘ ভোট পর্বে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক জনসভা ও রোড শো করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও অবিচারকে প্রচারে তুলে ধরেছেন তিনি। লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে কাজ করে গেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র তেরো বছর আগে রাজনীতিতে আসা অভিষেকের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
যদিও তার এই সাফল্যকে কটাক্ষ করে সমালোচকেরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জনপ্রিয়তা আর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের পরিশ্রমকে সহজভিত্তি করেই উচ্চতার শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। এছাড়াও অনেকে মনে করেন এই সাফল্য তার হাতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এবি/ এইচএন