সংগৃহিত
বিনোদন

পলাশ মণি দাসের ঈদ নাটক ‘নানা বাড়িতে ঈদ’

বিনোদন প্রতিবেদক: বর্তমান শটকার্ট নির্মাণের যুগে একেবারেই বিপরীত নির্মাতা পলাশ মণি দাস। কাজের প্রতিনিষ্ঠা আর ভালোবাসা তার প্রতিটি নির্মাণেই ফুটে ওঠে। তাই তার নাটকের প্রতি দর্শক চাহিদাও সবসময় লক্ষ্য করা যায়। দর্শক রুচির বিষয়টি মাথায় রেখে তিনিও নির্মাণে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেন।

সেই ধারাবাহিকতায় এবারে ঈদের জন্য নির্মাণ করেছেন ‘নানা বাড়িতে ঈদ’ নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- হান্নান শেলি, আখম হাসান, পুনম হাসান জুঁই, তারিক স্বপন, সূচনা শিকদার, নিথর মাহবুব, সাজু আহমেদ, সিগ্ধা হোসাইন, ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।

‘নানা বাড়িতে ঈদ’ গল্পে দেখা যাবে- নানাদের এখনো একান্নবর্তী পরিবার, নানার কথাই বাড়ির শেষ কথা। নানা বাড়ির আঙ্গিনায় মস্ত বড় উঠান, উঠানের পাশ দিয়ে নানার ঘরসহ নানার অন্যান্য ভাইদের ঘর। সকল ভাইয়ের সন্তান-সন্তুতি আছে। বাড়ির সবাই সম্পর্কে মামা-খালা হয়। আমরা সবাই মিলে পুরো বাড়িটিকে হৈ-হুল্লোড় করে উৎসবের আখড়া বানিয়ে তুলতাম।

দিনমান দৌড়-ঝাঁপ এমনকি রাতের চাঁদের আলোতেও বিভিন্ন রকমের খেলায় মেতে উঠতো সবাই, চলতো নাচ-গান, গল্প-কবিতা আরও কত কি। নানা বাড়ির কথা শুনলেই মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। আর সেটা যদি হয় নানা বাড়িতে ঈদ হয়, তাহলে তো কথাই নেই।

দীর্ঘ বছর পর নানা বাড়িতে ঈদ করার জন্য হাবিব ছুটে আসে। হাবিব সাবিহাকে প্রথম দেখা চিনতে পেরেও না চিনার ভান করে, এতে সাবিহা মর্মাহত হয়। ছোটবেলা থেকেই সাবিহার কাছে হাবিব ভিলেন ছিল, আজও যেন তাই আছে। এত বছর পর হাবিবকে কাছে পেয়ে নানা ও নানি বেশ উৎফুল্ল। নাতির জন্য কি থেকে কি করবে বুঝতে পারে না।

নানা হাবিবকে আদর করলে অন্যরা মেনে নিতে পারে না। এই নিয়ে তৈরি হয় সবার মধ্যে দ্বন্দ্ব, পরক্ষণেই সবকিছু ভুলে ভাই-বোন সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ঈদের সময় চলে আসে। নানা তার নাতি-পুতিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এবাবের কোরবানির হাটের সবচেয়ে বড় গরুটি তারা কিনবে। হাটে গরু কিনতে যাওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুতি নিয়ে বের হইছে। কিন্তু মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে হাবিব, নানা তার পাশে গিয়ে জানতে চায় কেউ কি তাকে কিছু বলেছে। হাবিব বলে নানা এবার যদি আমরা কোরবানি না দেই তাহলে কি হবে? হাবিবের কথা শোনে সবাই হতভম্ম হয়ে যায়।

হান্নান মামা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না, প্রতিবেশি হিসাবে কি আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই? গরু কিনার টাকাটা যদি হান্নান মামার হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। হাবিবের এই মানবিক কথা শোনে নানার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। সৃষ্টি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। কোরবানির টাকা দিয়ে হান্নানের উন্নত চিকিৎসা হবে শহরে। এরপরও যদি টাকার প্রয়োজন হয় সেই টাকা নানা দিবে বলে অঙ্গীকার করে।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ফের হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস...

উরুগুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে একটি নার্স...

প্রধানমন্ত্রী বেইজিং যাচ্ছেন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের রাষ্ট্র...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেশ কিছু...

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের

জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের প্...

দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি থেকে হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজ...

বাসচাপায় নানা-নাতনী নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্...

আট জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আট জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়ে...

অমিয়ভূষণ মজুমদার’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের

জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের প্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা