নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিমার্জন হচ্ছে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের আলোচিত ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প। এছাড়াও নতুন পাঠ্যবইয়ের অন্যান্য অসংগতি, ভুল চিহ্নিত করে সংশোধন করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে এসব সংশোধনী মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে গঠিত সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সব বই পর্যালোচনা ও ভুল চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য সুপারিশ করবে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসের মধ্যে কমিটির সুপারিশ হাতে পাব এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, গল্পটি পরিমার্জিত হচ্ছে। তবে কতটুকু পরিমার্জিত হবে তার বিস্তারিত জানাননি তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইস্যু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের বইয়ের পাতা ছিড়ে চাকরি হারান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাব। এরপর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) আন্দোলনে নামেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এ কমিটিতে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ। এ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।
এবি/এইচএন