মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও রানাদিয়া জামে মসজিদের ইমাম ওমর ফারুককে (৩৫) পরকীয়ার অভিযোগে পিটিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শহিদুল ইসলাম।
মারধরের পর ইমাম ওমর ফারুক বলেন, আমার সঙ্গে ওই নারীর কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই। আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে হাসি-ঠাট্টার ছলে তার সঙ্গে কথা বলেছি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রানাদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওমর ফারুকের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর এলাকায়। ইমামতির সুবাদে পরিবার নিয়ে মসজিদের পাশেই একটি কক্ষে থাকেন তিনি।
রানাদিয়া জামে মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, ওমর ফারুক পাঁচ বছর ধরে গড়পাড়া ইউনিয়নের রানাদিয়া জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি রানাদিয়া নালুমোল্লা হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক। ইতোপূর্বেও তার নামে নারী সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ ছিল যার জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় তাকে সতর্ক করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, এলাকার এক গৃহবধুর সঙ্গে বছর দেড়েক ধরে ওমর ফারুকের সম্পর্ক, বিষয়টা প্রথমবার জানাজানি হলে ওমর ফারুককে সতর্ক করা হয়। এরপর কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় সেই নারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ শুরু হয়।
জানা যায়, শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ওই নারী তার স্বামীর কাছে ধরা পড়েন। স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে মারধর করেন ও মাদরাসায় গিয়ে ওমর ফারুককে শারীরিক হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করেন।
জামায়াত নেতা ওমর ফারুক বলেন, মোবাইল ফোনে মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে কথা হয়। আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে হাসি-ঠাট্টার ছলে তার সঙ্গে কথা বলেছি। এটি আমার করা ঠিক হয়নি। আমি অনুতপ্ত।
গড়পাড়া ইউপি সদস্য মো. আলাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। পরে আমি ইমামকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি শুধু আমাকে বললেন, তিনি আর মসজিদের দায়িত্ব পালন করবেন না।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মনিরুদ্দীন বলেন, ‘এমন অনৈতিক ঘটনার কারণে তাকে এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে যদি নিজেকে না শোধরাতে পারে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পর ইমামতি থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওমর ফারুক গড়পাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি। অনৈতিক ঘটনায় তিনি জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ