নিজস্ব প্রতিবেদক : যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা, এবাদত বন্দেগী ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর, ১৪৪৫ হিজরী পালিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে পুরো রাতব্যাপী সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র শবে কদর পালন করে।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অসীম দয়ালু মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ্-তা’লার নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় নফল নামাজ ও জিকির-আজগারের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতটি কাটান। মসজিদে-মসজিদে ও বাসায় রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন নারী-পুরুষরা। মোনাজাতে মুসল্লিরা চোখের পানিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। মসজিদগুলোতে মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরাও নামাজে অংশ নেয়।
পরম করুণাময় মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন।
সারা দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই শবে কদরের রজনী কাটান।পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। শবে কদর উপলক্ষে আজ রোববার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পবিত্র শবে কদর ১৪৪৫ হিজরি উদযাপন উপলক্ষ্যে শনিবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘পবিত্র শবে কদর এর ফজিলত ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এবি/এইচএন