নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে দৈনিক গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৯ মাসে মোট টোল আদায় হয়েছে ১২৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
উদ্বোধনের পর থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম এ সেতু (পদ্মা নদীর ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট) দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।
এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সাথে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
এছাড়া বছরে শ্রমশক্তির প্রায় ১.৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। এ সেতু নির্মাণের ফলে সারা দেশে .৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি- দক্ষিণাঞ্চলে ২.৫ শতাংশ ও সামগ্রিকভাবে ১.২৩ শতাংশ।
সরকারপ্রধান বলেন, ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ সামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এতে বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এবি/এইচএন