ছবি-সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক
মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিগত ছয় দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও প্রায় একইসংখ্যক মানুষ। এছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, এ দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ১২ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এছাড়া ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির আল হাউজ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, আর এর পরে রয়েছে তারউদান্ত প্রদেশ। মারাক্কেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম, যদিও ইউনেস্কো-সুরক্ষিত পুরোনো এই শহরটিও ভূমিকম্পে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

মারাকেশের চিকিৎসক ডা. হেশাম খারমৌদি বলেন, শহরে আহতের সংখ্যা বাড়ছেই। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবকরা লোকজনকে সহায়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, চিকিৎসাকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখন একমাত্র সমস্যা হলো, রক্তের ব্যাগের রিজার্ভ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে রক্তদানের আহ্বান জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষ আমাদের আহ্বানে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে।

পাহাড়ের গ্রামগুলোতে সাধারণ মাটির ইট, পাথর এবং কাঠের তৈরি বাড়িগুলো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা মূল্যায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রাম থেকে বিবিসির রিপোর্টার নিক বেক বলছেন, আফটারশকের আশঙ্কায় অনেক লোক সেখানে রাতের (ঘুমানোর) জন্য ক্যাম্পিং করছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, তাদের খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জায়গায় খাবার ও পানি পৌঁছানো কঠিন। মূলত পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় জরুরি পরিষেবার দলগুলোর জন্য সেখানে পৌঁছানো কঠিন।

মরক্কোর রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা করার জন্য রাজা সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতিসংঘ বলেছে, তারা মরক্কো সরকারকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর শুক্রবার এই ভূমিকম্প দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বাসচাপায় নানা-নাতনী নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্...

বেইজিংয়ের পথে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাজধানী বে...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ জুলাই) বেশ কিছু...

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের

জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ জনের প্...

উরুগুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে একটি নার্স...

শিল্পকলায় ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৫০তম মঞ্চায়ন 

সাজু আহমেদ: জাগরণী থিয়েটারের জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘রা...

ঢাকায় অভিযানে গ্রেফতার ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জনক...

দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি থেকে হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজ...

বাসচাপায় নানা-নাতনী নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্...

আট জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আট জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা