আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সিনেটর দিলওয়ার খান। এতে সমর্থন জানান বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী মুরতাজা সোলাঙ্গি এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। সিনেটের এই প্রস্তাব মানতে আইনগতভাবে বাধ্য নয় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সিনেটর দিলওয়ার খান তার উত্থাপিত প্রস্তাবে বলেন, বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সেসব অঞ্চলে এখন নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে।
এছাড়া নির্বাচন আয়োজনে বর্তমানে উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই বলেও জানিয়েছেন সিনেটর দিলওয়ার খান। তিনি বলেছেন, মহসিন দাওয়ার এবং জমিয়ত উলামা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) সদস্যরা হামলার শিকার হয়েছেন। এছাড়া বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলার মুখে পড়েছেন।
সিনেটর দিলাওয়ার আরও জানিয়েছেন, নির্বাচনের র্যালিতে হামলার ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি নির্বাচন স্থগিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সিনেট বলছে বাধা দূর করা ছাড়া নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। ফলে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন স্থগিত হওয়া উচিত।’
সিনেটর দিলওয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্বাচন স্থগিতের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন।
সিনেটে এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছিলেন নওয়াজ শরীফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সিনেটর আফনানউল্লাহ খান। সূত্র: জিও টিভি
এবি/এইচএন