বাণিজ্য ডেস্ক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আইন কানুনের সংস্কারসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সুফল আগামীতে মিলবে। এছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব কথা জানানো হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির কমিশনাররা। আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশনের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন চিফ পিয়াপর্ণ নিক্কি সোদশ্রী উইবুন।
বিএসইসির মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ। সেগুলো হলো- বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন আইন-কানুন ও পলিসি নির্ধারণ, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের তারল্য ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটা ১ হাজার কোটির কাছাকাছি নেমে আসে।
বর্তমানে সেটা আরও কমে ৫০০ কোটি টাকায় নেমেছে। সামনে দেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্বাচন-পরবর্তী পুঁজিবাজারের তারল্য প্রবাহ অনেক বাড়বে।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও বন্ড মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পলিসির ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ডেরিভিটিভস মার্কেট চালু করার জন্য রুলস তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এবি/এইচএন