আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় প্রতিদিনই বাড়ছে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাসে দুজনের মৃত্যু ও ছয়জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেরালাবাসী আতঙ্কিত।
এরই মধ্যে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুহার করোনার চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিএমআর-এর ডিজি বলেন, ‘করোনার তুলনায় নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুহার বেশি। নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪০-৭০ শতাংশ।’
এদিকে, কয়েক দিন আগে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কেরালার কোঝিকোড় জেলার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে 'কনটেনমেন্ট জোন' ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়াও কয়েকটি স্কুল কলেজসহ সংক্রমিত এলাকার অফিসও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ দাবি করেছেন, নিপাহ ভাইরাসের যে স্ট্রেইন বা ভ্যারিয়েন্ট কেরালায় ছড়িয়েছে তা ‘বাংলাদেশি ভ্যারিয়েন্ট’। তিনি জানান, এই ভ্যারিয়েন্ট কম সংক্রামক, তবে মারণ ক্ষমতা বেশি। আর তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
নিপাহ ভাইরাসে চলতি মাসের শুরুতে কেরালার কোঝিকোড় জেলায় একজনের মৃত্যু হয়। একই জেলায় অন্যজনের মৃত্যু হয় ৩০ আগস্ট। প্রাণ হারানো একজনের দুই স্বজনের দেহেও নিপাহ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রাণ হারানো দুজনের সংস্পর্শে আসা ১৬৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেরালায় ২০১৮ সালের পর এটি নিপার চতুর্থ প্রাদুর্ভাব। ২০১৮ সালে কেরালায় প্রথম নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। ওই বছর ২৩ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য কোনো ওষুধ বা টিকা না থাকায় রোগীদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডবিয়া মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানান, কেন্দ্রীয় সরকার কেরালা রাজ্যের পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে।
এবি/ওশিন