গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগছেন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন পোপ; এমনটিই জানিয়েছে ভ্যাটিকান। সোমবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
৮৮ বছর বয়সি এই ধর্মগুরু দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রোমের জেমেলি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার তার ফুসফুসে বড় পরিমাণে শ্লেষ্মা জমে যায়, যা দুই দফা তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এ ছাড়া, তিনি ব্রঙ্কোস্পাজমেও (ফুসফুসের বায়ুপথ সংকুচিত হয়ে যাওয়া, যা হাঁপানির মতো) আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা দুটি ব্রঙ্কোস্কোপি করে তার শ্বাসনালির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন এবং এই প্রক্রিয়ায় তার ফুসফুস থেকে প্রচুর শ্লেষ্মা অপসারণ করা হয়।
শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে তাকে ‘নন-ইনভেসিভ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন’ দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, তার অবস্থা এখনো সংকটপূর্ণ এবং তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন।
তবে চিকিৎসার সময় তিনি সম্পূর্ণ সচেতন ছিলেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক শারীরিক জটিলতার শিকার হয়েছেন। তরুণ বয়সে প্লুরিসিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার একটি ফুসফুসের অংশ কেটে ফেলা হয়েছিল, ফলে তিনি ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন।
দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া একটি মারাত্মক সংক্রমণ; যা প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সোমবার হাসপাতালে থেকেই তিনি একটি নতুন বার্তা প্রকাশ করেন, যেখানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যুদ্ধ প্রতিরোধে ক্রমাগত ব্যর্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এদিকে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি; যা তার ১২ বছরের পোপতন্ত্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অনুপস্থিতি। তবে তিনি হাসপাতাল থেকেই বিভিন্ন নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন; যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি কিছুটা কাজ করছেন।
চিকিৎসকরা কবে নাগাদ তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কিছু বলেননি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ