চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস ও সূত্র বলছে, সারা বিশ্বে মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ নারীদের দুটি জরায়ু থাকে। দুটি জরায়ুর নিজস্ব ডিম্বাশয় এবং ফেলোপিয়ান টিউব থাকে।
পশ্চিবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার পূজা বিশ্বাস দুটি জরায়ুর অধিকারী। তাকে অস্ত্রোপচারের টেবিলে দেখে অবাক হন চিকিৎসকরা।
তারা জানিয়েছেন, পূজা বিশ্বাস নামে এক সন্তানসম্ভবা গত ১৯ ডিসেম্বর বনগাঁর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেদিনই অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচার শুরু হতেই হতবাক হন চিকিৎসকরা। কারণ, ওই নারীর দুটি জরায়ু শরীরে রয়েছে। আগে পরীক্ষায় সেই বিষয়টি ধরাও পড়েনি। ওই মুহূর্তে পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল হয়ে যায়। অস্ত্রোপচারের ঘরেই আলোচনা করেন চিকিৎসক ও নার্সরা। প্রথমে অস্ত্রোপচার করে সন্তানকে একটি জরায়ু থেকে বের করা হয়। মায়ের থেকে সদ্যোজাতকে আলাদা করে এবার বাকি অস্ত্রোপচার শুরু হয়। গোটা বিষয়টিই ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার শঙ্কা ছিল প্রবল। অন্য জরায়ুটি শরীর থেকে বাদ দেওয়া হয়। মূত্রনালির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়েও সতর্ক ছিলেন চিকিৎসকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এ অস্ত্রোপচার। প্রতিকূলতার মধ্যেও সাফল্য পেলেন চিকিৎসকরা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা বনগাঁর এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।
চিকিৎসক মোহিতোষ মণ্ডল বলেন, নারীদের শরীরে একটি জরায়ু থাকে। এই ধরনের দুটি জরায়ুকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ইউটোরাইন ডাইডিলকাস ইউনিকলিস বলা হয়। এটি বিরল ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, ওই নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাত ও মাকে অস্ত্রোপচারের পরে বিশেষ নজরদারিতেও রাখা হয়।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ