নওগাঁয় সপ্তাহের প্রতি বুধবার বসা গাছের হাটের জায়গায় টেনিস কোর্ট বানিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিরুদ্ধে। হাটের জায়গায় নিয়মিত গাছ ব্যবসায়ীরা গাছ বেচাকেনা করলেও তার দিকে কোনো খোলাই যেন নেই ওই সরকারি কর্মকর্তাদের।
অভিযোগ আছে, তারা টেনিস কোর্ট বসাতে কয়েকজন নার্সারির ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করেছেন। এই কাজে তারা সহায়তা নিয়েছেন স্থানীয় বিজিবি-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর।
স্থানীয়দের দাবী, অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্টে গাছ নিয়ে বসাতে দেশ ও জনগণের এমন কোনো ক্ষতি হয় নি যে প্রয়োগকারী বাহিনীর এনে ব্যবস্থা নিতে হবে। টেনিস কোর্ট বসা এমন কি অপরাধ যে সেখানে তিনটি বাহিনী দিয়ে অভিযান চালাতে হয়েছে।
ওই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে, অফিসার্স ক্লাবের ওখানে টেনিস কোর্ট করার সময় গাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কোনো আলাপ করা হয়নি জানা গেছে, অভিযানের আগে একজন ম্যাজিস্ট্রেট হাটে এসে বলে গেছেন, জেলা প্রশাসনের টেনিস কোর্টে গাছ নিয়ে বসা যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, অফিসারদের বিনোদনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত একটি ক্লাব জেলা প্রশাসনের হয় কীভাবে। এটি পরিচালনায় প্রশাসনের কন ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে পরিচালনা করা হয় কি-না তা জানতে চাওয়া হয়েছে
আরও জানা যায়, ক্লাবের লোকেরা টেনিস কোর্টে বসা নিয়ে ঝামেলা করায় জেলা প্রশাসককে সমাধানের জন্যে আবেদন দিলেও তার কোনো সমাধান করা হয় নি। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে গাছ ব্যবসায়ীদের খরচে টেনিস কোর্টটি ১০ ফিট পূর্বে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হয় নি।
জানা যায়, অফিসার্স ক্লাবের সভাপতিও একজন জেলা প্রশাসক। গাছের হাট নিয়ে সমাধানের আবেদন করায়, জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক এই ক্লাবের সভাপতি, তিনি নিজে কীভাবে নিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন?
এরপর বিষয়টি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরকে জানালে, তিনিও কোনো কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, গাছের হাটে বিজিবি, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অভিযান চালানোর সময় একজন ছবি তুললে, তাকে ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি এবং সে ছবি ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে গাছ নিয়ে কেউ যেন টেনিস কোর্টে বসতে না পারে সে জন্যে কোর্টটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমবায়ের ওই চত্বরে প্রবেশের পথ অতি সরু করা হয়েছে।