নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশু অপরাধী সংশোধনাগারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শিশু উন্নয়নকেন্দ্র। শিশু অপরাধীদের ইতিবাচক পরিবর্তনে এরকম ১২টি উন্নয়ন কেন্দ্র করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (১২ মে) রাজধানীর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরডাপ) মিলনায়তনে কিশোর অপরাধের ধরন ও কারণ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিশুদের নিয়ে প্রায় ২১৩টি প্রতিষ্ঠান আছে দেশে। তবে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সংখ্যা মাত্র ৩টি, যা সত্যিই অপ্রতুল। সে জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে ১২টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হবে। এক সময় যেগুলোকে শিশু অপরাধী সংশোধনাগার বলা হতো, সেগুলোকে এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বলা হচ্ছে। তাদের সাপোর্ট দিয়ে অপরাধীর জায়গা থেকে ইতিবাচক একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য সংশোধনাগারের নামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, কিশোর গ্যাং বিভিন্ন জায়গায় বিস্তৃত হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ও প্রেমঘটিত ব্যাপার ছাড়াও মাদক সেবন, রাজনৈতিক প্রভাবও থাকে এসব ব্যাপারে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে যেটি দেখতে হবে পরিবারে শিশুর দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে কি না এবং সে কার সঙ্গে মিশছে। কোথায় কী করছে? পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কি না। তাকে জানা বা বুঝার জায়গাগুলোতে একটি বড় ঘাটতি থেকে যায়। এ জায়গাটায় আমাদের অনেক বেশি কাজ করার আছে। আমাদের সবকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তবে আমরা কীভাবে ভালো বাবা-মা হবো, সেটার কিন্তু প্রশিক্ষণ হয় না।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাকে মর্যাদা দিতে হবে, তার বয়স যাই হোক। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে যদি সম্মান করি, তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে। যেটা অযৌক্তিক সেটি তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। এখানে খুব বড় একটা গ্যাপ আছে। সেই গ্যাপটাই ভিত্তি তৈরি করে দেয় এসমস্ত নেতিবাচকতা, এসমস্ত অপরাধের। বাচ্চাকে কথায় কথায় বকা দিলে, সে মিথ্যা বলতে শুরু করে। এটাই পরবর্তীকালে ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে যায়। কাজেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুকে শিখাতে হবে।
সেমিনারে নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুন নেসা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
এবি/এইচএন