নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অবহেলা না হয়, আমরা সে ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। সারা দেশে অন্ধত্ব দূর করতে মানুষকে সেবা দিচ্ছি, অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমিয়েছি। আরও কমাতে কাজ করছি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দেশের ৬৫ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি টিকা দিয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধনী দেশগুলোও বিনা মূল্যে করোনার টিকা দেয়নি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। তখন আমাদের রিজার্ভও ভালো ছিল।
তিনি বলেন, করোনাকালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি নার্স ও চিকিৎসককে আলাদা করে ভাতা দিতে হয়েছে। কারণ সে সময়ে ভয়ে কেউই এগিয়ে আসতে চায়নি।
এমনকি তাদের সুরক্ষায় পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিতে হয়েছে। এছাড়া করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ভলান্টিয়ার তৈরি করতে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে আমরা ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। এসব ক্লিনিকের প্রথম ৪০০০ যখন চালু করি, তখন সেগুলো ৭০ ভাগের মতো সাফল্য অর্জন করে। ২০ লাখ মানুষ কমিউনিটি আই সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা সরকার ক্ষমতা এসেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ এখানে যারা কাজ করবে, সেবা নেবে, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। সুতরাং এগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
আমরা বিএনপির মতো এসব দৈন্য চিন্তা করি না। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি এবং সেগুলোতে দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ সেবা নিচ্ছে। বিএনপির চিন্তা দৈন্য আছে, তারা সব সময় স্বার্থপরতায় ভোগে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা মানুষকে সেবা দিচ্ছি। এক্ষেত্রে কে কোন দল করে, বিবেচনা করি না। সবাইকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের চিন্তার দৈন্যতা আছে। মানসিক দৈন্যতার কারণে তারা ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না।
এ সময় বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পানির হাহাকার অনেক জায়গায়। আমরা ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে, উদ্বৃত্ত থাকলে রফতানি করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা অনেক ভর্তুকি দেই। এটারও ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন।
পাশাপাশি নদী, খাল, বিল সব কিছু যেন দূষণমুক্ত হয়, সেই খেয়াল রাখবেন। যেকোনো প্রকল্প প্রণয়নে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখবেন, জলাধার রাখবেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষের জীবেনের চাহিদা, অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ সড়ক যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ২০০৯ থেকে উন্নয়ন করেছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলে এগুলো করতে পেরেছি। এ জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এবি/এইচএন