নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও রাজনীতির গতিপথ কোনো বিদেশি শক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হবে না। একইভাবে দেশ বিরোধী কোনো অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির হুমকির মুখেও বিচ্যুত হবে না।
রোববার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ও তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বরাবরই হত্যা, ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে। তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির অন্তরালে তারা পুনরায় হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য তারা মায়া কান্নার মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে করুণা ভিক্ষা করছে। তাদের মুখে আজ গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা।
জনগণের রায় ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র শেখ হাসিনাই সাংবিধানিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কোনো বিদেশি শক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হবে না। শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর।
তার নেতৃত্বে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে এবং গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে জন্য জনগণ ভালোবেসে তাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা অভিধায় অভিষিক্ত করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কষ্টার্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান অভিযাত্রা, জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও দেশের জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কোনো ধরনের আত্মত্যাগে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই দেশের জনগণের সাথে তামাশা করে আসছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি ঐতিহ্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সংবিধান ও নির্বাচন বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাবস্থায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বিএনপির আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের নিয়ে সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে।
তখন নির্বাচন কমিশনে ছাত্রদলের চিহ্নিত ক্যাডারদের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে।
এবি/এইচএন