গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে ইজতেমায় আসছেন মুসল্লিরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমা উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে পুরো মাঠ। পোঁতা হয়েছে বাঁশের খুঁটি। টানানো হয়েছে চটের শামিয়ানা। বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এসে জড়ো হচ্ছেন ইজতেমা মাঠে। তাদের সবার সঙ্গে গাট্টিবোঁচকা। ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) তারা অবস্থান নিচ্ছেন।
ইজতেমা মাঠের টঙ্গী স্টেশন রোডসংলগ্ন ফটক এলাকায় শামিয়ানার নিচে অবস্থান করছিল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে আসা ৩৫ সদস্যের একটি তাবলিগ জামাতের দল। তারা বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করেছেন। মাঠে প্রবেশ করেই নিজেদের জায়গা ঠিকঠাক করে নিচ্ছিলেন।
এ সময় কথা হয় ফোরকান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, গণ্ডগোলের (১৭ ডিসেম্বর রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ) পর এইবার ইজতেমা হইব কিনা, এইড্যা নিয়ে সন্দেহে আসিলাম। পরে মুরব্বিরা কইল, ইজতেমা হইব। পরে বুধবার বিকালেই ইজতেমার লাইগ্যা বাড়ি থেইক্যা রওনা দিছি। মাঠে আসতে আসতে রাত ১২টা বাজছে। এক বছর পর সবার লগে দেখা হইয়্যা খুব ভালো লাগতাছে।
ইজতেমার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, আমাদের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে শুক্রবার থেকে। তবে বৃহস্পতিবার অনেক সাথি ভাই মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। আজ সারা দিন হাজারো মুসল্লি আসবেন। সবার অংশগ্রহণে এবার আমরা খুব সুন্দরভাবে ইজতেমা পালন করব।
মো. সায়েম আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবেবরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। এটি অনেক বড় পাওয়া।
তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। এর আগে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে ইজতেমা পালন করেন শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের আহমদের অনুসারীরা। তৃতীয় ধাপে ১৪–১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা পালন করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ