আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের কোনও কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।
তাপদাহের কারণে দেশটিতে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে ফিলিপাইনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে।
রয়টার্সকে ২৩ বছর বয়সী কির্ট মাহুসে নামের এক সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম পড়েছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এটি স্বাভাবিক (গ্রীষ্মের) গরমের মতো নয়, যা সহনীয়।’
৬২ বছর বয়সী মেমিয়া সান্তোস নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে। ঘামে আমাদের শরীর ভিজে যাচ্ছে। মাথা ঘোরাচ্ছে।’
সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, ‘মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে। কারণ সেসময় অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ তীব্র তাপদাহে পুড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে মাথা ঘোরা, বমি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতার জন্য শিশুরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
রাজধানী ম্যানিলায় অনেক শিক্ষার্থী ছাতা, এমনকি কার্ডবোর্ড দিয়ে মাথা ঢেকে স্কুলে আসছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাসের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম।
অনলাইনে ক্লাস করা ২০ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী ইসমাইরা সোলাইমান বলেন, ‘ইন্টারনেটের সমস্যা তো আছেই। এছাড়া প্রচন্ড গরমের কারণে মাথা ঘুরায়, ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছি না।’
এবি/এইচএন