শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তার আইনজীবী মুস্তাফা নিলি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিলি বলেছেন, চিকিৎসার জন্য নার্গিসকে তিন সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে। লিলি জানান, ২১ দিন আগে নার্গিসের টিউমার অপসারণ এবং সার্জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই মেডিক্যাল সেবার জন্য নার্গিসকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ৫২ বছর বয়সী নার্গিস বর্তমানে তেহরানের ইভিন কারাগারে ১৩ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
নার্গিস মোহাম্মদির পরিবারের সদস্য ও সমর্থকেরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, নার্গিস মোহাম্মদির ২১ দিনের কারাদণ্ড স্থগিত করা অপর্যাপ্ত। আমরা নার্গিস মোহাম্মদির শর্তহীন মুক্তির দাবি জানাই।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন নার্গিস মোহাম্মদি। ইরানের মৃত্যুদণ্ড ও বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের বিধানের বিরুদ্ধে প্রচারণাসংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান নার্গিস মোহাম্মদি। তার সন্তানেরা নরওয়ের অসলোয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানের কয়েক সপ্তাহ পর ইরানের একটি বিপ্লবী আদালত তাকে আরো ১৫ মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেন।
নার্গিস মোহাম্মদি ইরানের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ। জেল–জুলুম সত্ত্বেও তিনি আপস না করে অধিকার আদায়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে তার বাবা মারা যান। কিন্তু তখনো তাকে বাবার দাফনে অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ