নিজস্ব প্রতিবেদক: আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সারা দেশ থেকে বৃষ্টি বিদায় নিতে পারে। সেই সাথে আগামী কয়েকদিনে রাতের তাপমাত্রা কমে ক্রমে শীত জেঁকে বসতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ৯৬ মিলিমিটার।
এ সময় সারা দেশে আবহাওয়া অফিসের ৪৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে তেঁতুলিয়া ও খেপুপাড়া ছাড়া সব জায়গায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার।
এদিকে রাজধানীতে দিনভর বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসমুখী মানুষ। কষ্ট হয়েছে শ্রমজীবী মানুষেরও। অফিসে শেষে ঘরমুখী মানুষও দুর্ভোগ পোহায়। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে ভিজেই গন্তব্যে ছোটেন।
এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও দেখা গেছে জলাবদ্ধতা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এ দিন দুপুরের পর অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তরাঞ্চেলের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এছাড়া আগামী ২ দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। এতে শীত বাড়বে। তবে বৃষ্টি দূর হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ১১-১২ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে কমতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিচে নেমে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে এভং মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ দিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এবি/এইচএন