আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন চীনবিরোধী নেতা ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রোসিভ পার্টির প্রার্থী উইলিয়াম লাই। এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন উইলিয়াম লাই। তার জয়ের পর তাইওয়ান স্বাধীনতা পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার তাইওয়ানের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতাকে সমর্থন জানাই না।’ যদিও তাইওয়ানের নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন সতর্ক বলেছিল, ‘নির্বাচনে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য না।’
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে চীন। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম মনে করে। ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে চলছে গণতান্ত্রিক ধারা। এর আগে তাইওয়ান সামরিক শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা জর্জরিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তাইওয়ানে লাই চিং-তে’র জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে ভয়ভীতি এবং চাপমুক্তভাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আসা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিব্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের এক চীন নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই এবং অন্যান্য সব পার্টির নেতাদের সঙ্গে ওয়াশিংটন কাজ করার অপেক্ষায় আছে বলে জানান ব্লিনকেন।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দেশটিকে সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের আশঙ্কা মার্কিনিদের সহায়তায় একটা সময় স্বাধীনতা চেয়ে বসবে তাইওয়ান।
অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসনের আশঙ্কা নতুন নির্বাচন এবং তাইওয়ানের নতুন প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি করবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও চীনের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান খারাপ সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। গত নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়া সম্মেলনে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছিলেন।
এবি/এইচএন