যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা খারিজ করেছেন দেশটির আদালত। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ওই মামলা করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি তানিয়া চুটকান। খবর বিবিসির।
এদিনই মামলাটি খারিজ করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন সরকারের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদ শেষে নিজের কাছে সরকারি গোপন নথি রাখার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল, সেটিও খারিজের আবেদন করেন তিনি।
মামলা দুটি নিয়ে মার্কিন আদালতে এতদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছেন জ্যাক স্মিথ। দুই মামলাতেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন ট্রাম্প। সোমবার আদালতে করা আবেদনে স্মিথ জানান, নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করতে হবে।
গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে বসতে যাচ্ছেন। পরবর্তী চার বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচনের ফলাফল বদলানোর চেষ্টার মামলার বিচার আবার শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি তানিয়া চুটকান।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদ শেষের পর বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে সাবেক এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন তিনি। তবে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প দাবি করে এসেছেন, রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে।
একই ভাষ্য ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলা জেডি ভ্যান্সেরও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, এই মামলাগুলো সব রাজনৈতিক। ট্রাম্প যদি নির্বাচনে পরাজিত হতেন, তাহলে তাকে জীবনের বাকি সময়টা কারাগারে কাটাতে হতো।
আমারবাঙলা/এমআরইউ