আবুধাবিতে চলামান টি-টেন লিগ নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ নেই। চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টটিতে শোনা গেল ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। সেই তালিকা রয়েছেন টুর্নামেন্টের বাংলা টাইগার্স দলের একজন। এই দলে আছেন সাকিব আল হাসান।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার হজরত বিলালের একটি নো-বলকে ঘিরে আবুধাবি টি-টেন লিগে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সেটিকে স্পট ফিক্সিং বলে সন্দেহ করেন। আর এবার দিল্লি বুলস ও বাংলা টাইগার্স ম্যাচে ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা ৩ বলে ৩০ রান দেন। আর তার এমন অস্বাভাবিক বোলিং নিয়েই ওঠেছে প্রশ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন।
আগে ব্যাটিং করা দিল্লি বুলসের বিপক্ষে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শানাকা। প্রথম বলে নিখিল চৌধুরী মারেন চার। পরের দুটি শানাকা করেন নো বল। সেই দুই বলেই চার মারেন নিখিল। পরের বলে অর্থাৎ ওভারের দ্বিতীয় বৈধ ডেলিভারিতেও চার মারেন ভারতের ব্যাটসম্যান। ওভারের তৃতীয় বলে ভারতের এই ব্যাটসম্যান মারেন ছক্কা। পরের দুটি বলও নো করেন শানাকা, যার শেষ বলটিতে হয়েছে চার। সব মিলিয়ে এভাবে ৩ বলে ৩০ রান দেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। পুরো ওভারে দেন ৩৩ রান।
এর আগে, আবুধাবি টি–টেন লিগের স্যাম্প আর্মি–নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ম্যাচে দেখা যায় এমন অস্বাভাবিক ঘটনার। স্যাম্প আর্মির ১৩৬ রান তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে তখন স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বলে পাকিস্তান ব্যাটসম্যান আসিফ আলীর বিপক্ষে এক ফুটেরও বেশি পা বাইরে রেখে বল করেন বিলাল। আসিফ অবশ্য বড় কোনো শট খেলতে পারেননি, নেন এক রান। বিলালের ‘নো’ ডেলিভারিটি এতটাই অস্বাভাবিক ছিল যে মাঠে ফিল্ডিং করতে থাকা সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি হেসে দেন।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ