নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ নিলেও টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদেরই থাকবে জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এজন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়াসহ যা যা করা দরকার, তা করা হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে ভারত সনদ নিয়েছে। পরে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্টস, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করে।
ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ নেয়ায় সরকার এখন কী পদক্ষেপ নেবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বিষয়টি অনলাইনে পেয়েছি, পরদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বসেছি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যে সংবাদ পরিবেশন করেছে, আমাদের তৎপতায় তারা সেটি সরিয়ে নিয়েছে।
এটি আমাদের আগে নেয়া উচিত ছিল। আমরা নিতে পারিনি। এখন আমাদের যেখানে যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা নিচ্ছি। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদেরই থাকবে। সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার, আমরা তা করবো। আমরা এগোচ্ছি।
নির্বাচনের আগে বলা হয় পোশাক শিল্পের বাজার কমে যাচ্ছে, ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও সেকেন্ডারি মার্কেট খুঁজতে বলেছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, বিজিএমইএয়ের সভাপতি বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আপনি যে ইঙ্গিত করছেন, আমিও সেই কথা ইঙ্গিত করে তার রিপোর্টে আজ আশ্বস্ত হয়েছি।
আমরা একজন মোড়লের ওপরে নির্ভরশীল নই। আমরা বিশ্ব বাজার দখল করছি। কেউ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গার্মেন্টস শিল্পকে ব্যবহার করতে চায়। কেউ শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে গার্মেন্টস উৎপাদন ব্যাহত করে বাজারকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে। এটি বারবার উদঘাটন হয়েছে। এ ব্যপারে সতর্ক রয়েছি।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে পোশাক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাবে পড়ে-এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গ্যাস সংকট রয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। গ্যসের ব্যবহারও বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন মানুষ অনেক আত্মপ্রসাদ নিয়ে আছে। আমি বলবো না, মানুষ দেড় হাজার টাকা দামের জামা পড়ছে। তবে সেই মানুষটি আজ গার্মেন্টস শিল্পের কারণেই দেড়শ-দুইশ টাকায় একটি নতুন জামা পড়ছে। আমরা ভালোর দিকে এগোচ্ছি। সেটিকে উৎসাহিত করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানসহ অন্যান্য নেতারা।
এবি/এইচএন