ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুলতান হোসেন খান ও তার উঠান বৈঠকে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুর রহমান খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ঘটনায় সুলতান হোসেন খানের ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। হামলার ঘটনার পর ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর কামাল শরীফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজসহ মোট ১৭ জন।
মামলায় বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আমার আপন ভাই সুলতান হোসেন খান উপজেলা নির্বাচনের ঝালকাঠি উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ১৪ মে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে ঝালকাঠি পৌরসভার কীর্তিপাশা মোড়ে ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে উঠান বৈঠক চলছিল।
এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. খান আরিফুর রহমানের নির্দেশে সকল আসামিরা বেআইনী জনতাবদ্ধে দা, লোহার রড, চাপাতি, হটস্টিক, জিআই পাইপ, রামদা, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার ভাইয়ের উঠান বৈঠকে অতর্কিত হামলা ও মারপিট করে।
আসামি মো. কামাল শরীফ এর হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। আমার ভাই সরে যাওয়ায় তার ডান বাহুতে কোপ পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অপর আসামিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ভাইয়ের কর্মী-সমর্থকরা আহত হন।
তখন ভাইয়ের ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে তার সাথে থাকা আইফোন ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়।
পরবর্তীতে আমার ভাবিসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ভাই ও অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক ভিকটিমদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আমার ভাইয়ের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণার পর থেকে অপর প্রার্থী আরিফুর রহমান খানের নির্দেশে মামলার আসামিরা ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে আসছে।
এদিকে ১৪ মে সুলতান হোসেন খানের উপর হামলার ঘটনায় সেই রাতেই অভিযান চালিয়ে আরিফুর রহমানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ ও তুহিন হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আটক ৩ জনের মধ্যে একজন এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। অন্য ২ জন সন্দিগ্ধ আসামি। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ খান আরিফুর রহমানের পক্ষ থেকে পাল্টা একটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে প্রক্রিয়াধীন আছে।
এবি/এইচএন