সংগৃহীত
জাতীয়

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতিও দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলেছিল জিয়া অরফানেজে কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফের। পরদিনই যার গেজেট প্রকাশ করা হয়।

রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করার পরও ৩ নভেম্বর এ মামলা নিয়ে হাইকোর্টে এক আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সেখানে বলা হয়, এ মামলার শুনানি তারা করতে চান দ্রুত। আর তাই পেপারবুক প্রস্তুতও করতে চান নিজ খরচে। পরে বেগম খালেদা জিয়ার সেই আবেদন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, কারো ক্ষমায় নয়, আইনি পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান বেগম জিয়া।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি)। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয় মামলার অপর তিন আসামিকেও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন, খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক ছিলেন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

শেষ মুহূর্তে লাউতারো মার্টিনেজের দুর্দান্ত এক গোলে...

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা: পরিচালনায় ভাস্কর পাপিয়া

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের তত্ত্...

এ আর রহমানের ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে

দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ, অস...

ঝিনাইদহে সুদের টাকা না পেয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরে...

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ আইসিসির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশ...

নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্ব...

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার

শুটিং সেটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন...

প্রবাসীদের পেটাতে বাউন্সার ভাড়া করেছে ইএসকেএল

নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বাউন্সার ভাড়া করেছে মা...

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা