নিজস্ব প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।
আজ দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমারা ঘুরে দাড়ালাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবি/এইচএন