ভারতের রপ্তানি জটিলতার কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। আর দুপুর ২টার পর থেকে শুরু হয় আলু আমদানি।
আমদানিকারকেরা জানান, ভারত থেকে নিয়মিত আলু ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল, গত রোববার থেকে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি স্লট বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেখানকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানির কারণে ভারতে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। এ জন্য রপ্তানি বন্ধে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিলেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারতের পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানির বন্ধের জন্য স্লট ও টোকেন দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
ফলে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য শত শত আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধান্ত হয় পশ্চিমবঙ্গ বাদে ভারত থেকে অন্যান্য প্রদেশ থেকে সীমান্তে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
রপ্তানি স্লট চালু করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সকালের দিকে পেঁয়াজ ও দুপুরের পর আলু আমদানি শুরু হয়। পেঁয়াজ ও আলু আমদানি বন্ধের খবরের কারণে অস্থির হয়ে উঠেছিল বাজার। তবে আমদানি শুরু হাওয়ায় দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সকালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও চার ট্রাকে ১১০ মেট্রিক টন আলুর আমদানি হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৭২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৯ মেট্রিক টন আলু আমদানি হলেও সোমবার দুই ট্রাক ৭২ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, স্লট জটিলতায় দুদিন পেঁয়াজ আলু আমদানিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। সকাল থেকে আবার আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আমার বাঙলা/এনবি