গত বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হয়েছিলেন হান্নান সরকার। তার বছর না ঘুরতেই পদটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বয়সভিত্তিক দলে নির্বাচক হিসেবে বেশ ভালো কাজ করেছিলেন তিনি। যার ফলে তাকে গত বছর জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য করেছিল বিসিবি। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কমিটিতে তার চাকরির মেয়াদ ছিল দুই বছর।
তিনি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। বিসিবি সূত্র জানাচ্ছে, এক মাসের নোটিস দিয়ে সরে যাচ্ছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, কোচিংয়ে সময় দিতে চান।
তিনি এই নিয়োগ পেয়েছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতনে। তবে শুরু থেকে বেতন নিয়ে উষ্মা ছিল তার। সে কারণেই তিনি তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।
একটি পত্রিকাকে হান্নান বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচকের পদটি খুবই সম্মানজনক। কিন্তু, বাস্তবতা হলো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার মতো না। প্রথমত বেতন কম, দ্বিতীয়ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। এ ধরনের চাকরিতে বেতন বেশি হলে ঠিক ছিল। দুই বা তিন মেয়াদে চাকরি করলে সঞ্চয় থাকতো। এখন দিন এনে দিন খাওয়ার মতো। এরচেয়ে কোচিং করালে ভবিষ্যৎ আছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাই আমাদের পথপ্রদর্শক। আশা করি, তিনি জাতীয় দলের প্রধান কোচ হবেন। ভালো কাজ করলে আমরাও একদিন জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ পেতে পারি। বিসিবিতে সম্মানজনক বেতন পেলে কোচ হিসেবে থাকতে চাই।’
দেশের দুই লিগ বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কোচদের কাজের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। সেখান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ থাকে কোচদের। সঙ্গে বিসিবিতেও কোচ হিসেবে সুযোগ থাকে কোচদের। সেখানে থেকে বিপিএল বা ডিপিএলে কাজেও বাধা থাকে না। হান্নান সে পথেই এগোচ্ছেন এখন।
আমারবাঙলা/জিজি