আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের চারপাশের আকাশে ও সমুদ্রে দুইদিন ধরে মহড়া চালালো চীন। ওই সামরিক মহড়া শেষ হলো শুক্রবার। এর একদিন পর রবিবার (২৬ মে) আবারও চীনকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণের শহর তাইনানে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বললেন, চীনের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও পুনর্মিলন বাড়ানোর জন্য তিনি উন্মুখ।
তাইওয়ানের সাথে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ভারী দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান লাই।
আদান-প্রদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে চীনের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং পুনর্মিলন বৃদ্ধির জন্য, পারস্পরিক সুবিধা তৈরি করতে এবং শান্তি ও সাধারণ সমৃদ্ধির অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি উন্মুখ। তবে লাই এটাও সাবধান করেন যে, তাইওয়ান প্রণালীতে তরঙ্গ সৃষ্টি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কোনও দেশকে মেনে নেওয়া হবে না।
চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছেন লাই। সেই সঙ্গে চীনা মহড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। দ্বীপ রাষ্ট্রটির সরকারকে চাপ দিতে গত চার বছর ধরে তাইওয়ানের চারপাশে নিয়মিত সামরিক তৎপরতা চালিয়েছে চীন।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিনমেন দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট আরেকটি দ্বীপ এরদানের গ্যারিসনে অশোধিত একটি কার্ডবোর্ডের বাক্স পাওয়া গেছে। বাক্সের ওপর চীনা অক্ষরে রাজনৈতিক স্লোগান লেখা ছিল।
মন্ত্রণালয়ের ধারণা, বাক্সটি দৃষ্টিসীমার বাইরে ড্রোন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে জানার জন্য অফিস টাইমের বাইরে ফোন কল ধরেনি চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে, ২০২২ সালে কিনমেন থেকে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল তাইওয়ান বাহিনী।
এবি/এইচএন