চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এই চার সংস্কার কমিশন হলো সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংস্কার কমিশনের প্রধান ও অন্য সদস্যরা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
চার সংস্কার কমিশনের প্রধান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা হলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে আজ বেলা তিনটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে সংস্কার প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার কথা রয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে দুই ধাপে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
এদিকে সংস্কার কমিশনগুলোকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে প্রথম ধাপের পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত বাড়ায় সরকার। এ ছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রস্তাবগুলো নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রস্তাবগুলো কবে, কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে, তার একটি রূপরেখা আসতে পারে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ