বাণিজ্য ডেস্ক: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অভিযানে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেন।
রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে ‘আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিযান পরিচালনাকারী দপ্তর/সংস্থা পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা না করে সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এমন অভিযোগের কথা জানান তিনি।
সভায় বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান মূলত ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কাজ করে। কাউকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য না। কোনো ব্যবসায়ী যেন অহেতুক হয়রানির স্বীকার না হয় সেই বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো। তবে কেউ যদি খাদ্য পণ্যে ভেজাল দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, প্রোসেসড ফুড যেমন রুটি, দই এসব পণ্যের বিষয়টা আমরা দেখি। উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ এসব আমরা দেখি।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেন বলেন, মোবাইল কোর্টটা যেভাবে পরিচালনা করা হয় এটা সম্পূর্ণ অপমানজনক। আসলে এটা আমাদের মালিক সমিতির জন্য অপমানজনক না, এটা সম্পূর্ণ দেশের জন্য অপমানজনক। তৃণমূল হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য যে জরিমানার আইন ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য একই আইন?
তিনি বলেন, বিএসটিআই বললো তারা অভিযান চালায় না। আসলে আমি বলবো বিএসটিআইয়ের অভিযানে এক প্রকার চাঁদাবাজি হয়। তারা অভিযানে বলে সব খাবারে বিএসটিআই থাকতে হবে। দইয়েরও বিএসটিআই লাগে, বোরহানিতেও বিএসটিআই লাগে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি অভিযানে অবশ্যই ফুড এক্সপার্ট রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে যেটা হয়, অভিযানে আসবে। এসে নাক দিয়ে খাবার শুকে বলবে এটা নষ্ট দুই লাখ টাকা জরিমানা করো। বলে কোনো কথা বলবেন না। কথা বললেই জরিমানার রেট বাড়ে। জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার টাকা দিতে হবে। দেরি হলেই হ্যান্ডকাপ দিয়ে গাড়িতে তোলে। জেল হাজতে নিয়ে যায়। অথচ আইনে আছে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা। তাহলে কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবো? এদেশে আমরা নাগরিক হিসেবে আমরা চরম অপমানিত।
সভায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেনসহ সংগঠনের নেতা, বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক, ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবি/এইচএন