নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসে মাঝারি আকারে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশে তাপমাত্রা দ্রুতই ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে, দেশে শীতকাল আসতে এখনো ১০ দিন বাকি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে আরও আগে থেকেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো তেমন ঠান্ডা অনুভব হয়নি।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের নভেম্বর মাস অনেকটা উষ্ণ ছিল। তাই ডিসেম্বর মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
এ দিন রাজধানীতেও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এ মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরই তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তাতে শীত অপেক্ষাকৃত বেশি অনুভূত হবে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে আকাশ কম-বেশি মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে এবং আগামীকাল বৃষ্টি বাড়তে পারে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশে বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে। বৃষ্টি বিদায় নেওয়ার পর রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই কমে শীত জেঁকে বসতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সকাল ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এতে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এবি/এইচএন