আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, গাজা ভূখণ্ডে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সাথে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই এ ভূখণ্ডটিতে অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আহত হয়েছে আরও ৬৯ হাজার ২৮ জন।
অপরদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তাদের আরও এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই সেনার নাম সার্জেন্ট সিমোন স্লোমোভ। বয়স ২০ বছর। গাজায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
এর আগে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময় বেঁধে দেয় ইসরায়েল। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে তাদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলেছেন, হামাস যদি এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে রাফায় তীব্র আক্রমণ চালানো হবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, জিম্মিদের কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। নাসের হাসপাতালে তাদের অভিযানকে সুনির্দিষ্ট ও সীমিত হিসাবে বর্ণনা করেছে তারা। ইসরায়েলের দাবি হাসপাতালটিকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে হামাস।
গত রোববার ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গান্তজ এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বকে জানতে হবে এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানা উচিত, যদি রমজানের মধ্যে জিম্মিরা বাড়ি ফিরতে না পারে তবে রাফাসহ সর্বত্র তীব্র লড়াই চলবে। আগামী ১০ মার্চ গাজায় রমজান শুরু হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। এতে দেশটির কমপক্ষে ১২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা।
এবি/এইচএন