ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরো ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৯৮৫ জনে। এ ছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক লাখ চার হাজার ৯২ জন ফিলিস্তিনি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরো ৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় আরো অন্তত এক লাখ চার হাজার ৯২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে গুলি চালায়। এতে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজারো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ