আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজাবাসীদের অবশ্যই ‘অটল থাকতে হবে এবং তাদের ভূ-খন্ডে থাকতে হবে।’
কায়রোকে গাজায় আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ পথের অনুমতি দেওয়ার আহ্বানের মধ্যে তিনি এ কথা বলেন।
মিশর এবং গাজার মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং হল উপকূলীয় ছিটমহলের মধ্যে এবং বাইরের একমাত্র পথ যা ইসরাইল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
হামাসের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে শনিবার থেকে হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরাইল বোমাবর্ষণ করছে।
হামাসের হামলায় ১,২০০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের ব্যাপক নির্বিচার বিমান হামলায় ১৪০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। ইসরাইল এখন গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের ‘বৈধ অধিকার’ নিশ্চিত করার বিষয়ে কায়রোর ‘দৃঢ় অবস্থান’ নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট বলেন, মিশর এই কঠিন সময়ে ‘চিকিৎসা ও মানবিক উভয় ধরনের সহায়তা প্রদান’ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি একটি সামরিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন, গাজাবাসীদের অবশ্যই ‘অটল থাকতে হবে এবং তাদের ভূ-খন্ডে থাকতে হবে’।
২৪ লাখ লোকের ছোট্ট উপকূলীয় ছিটমহল ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইল অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এখন তারা পানি, খাদ্য এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
ছয় দিনের বিরতিহীন ইসরাইলি বিমান ও কামানের গোলা পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।
ঐতিহাসিকভাবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী মিশর দাতাদেরকে গাজার জন্য এল আরিশ বিমানবন্দরে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান নাকোচ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গাজাবাসীদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার অর্থ হবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করা।
এবি/এইচএন